কক্সবাজারের ঈদগাঁও ও টেকনাফ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারীর আত্মহত্যা, ছাদ থেকে লাফিয়ে পালাতে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আরো এক যুবক মারা গিয়েছে।
জানা গেছে, ঈদগাঁও উপজেলায় কামরুন নাহার নামের এক মহিলা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রবাসী স্বামীর সাথে লোনের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির পর বৃহস্পতিবার সকালে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। আত্মহত্যাকারী এই মহিলার এক ছেলে ও এক মেয়ে শিশু রয়েছে।
অন্যদিকে টেকনাফে দোলনধর (২৮) নামে এক স্বর্ণ চোরাই কারবারি পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ৪ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। দোলন ধর চোরাই-স্বর্ণ কিনে অন্যজনকে বিক্রি করেন। খবরটি পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালাতে আসছে এমন খবর পেয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে পালাতে গিয়ে মৃত্যু হয় তার।
এছাড়াও টেকনাফের হ্নীলার আলীখালীর বাসিন্দা জাকারিয়া(২৩)। ১৫-২০ দিন আগে কক্সবাজার আসেন তিনি। এসে বিয়েও করেন। পরে জীবিকার জন্য শহরের বৈদ্যঘোনা এলাকার গ্যারেজ থেকে ভাড়া করা টমটম চালান তিনি। গতকাল বুধবার ভারী বৃষ্টিতে গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সে নিহত হয়েছেন।
তার স্বজনরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে অভিমান করে জীবিকা নির্বাহ করতে কক্সবাজারে চলে আসেন তিনি। এরপরই বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে তার মৃত্যুর খবর পায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান।
তিনি জানান, জেলায় পৃথক ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। সকাল থেকে মরদেহ নিতে সদর হাসপাতালের মর্গে অপেক্ষা করছেন নিহতদের স্বজনরা। ময়নাতদন্ত শেষে সবার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
পাঠকের মতামত